নৃত্য
মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি।নৃত্যকলা বিভিন্ন আঙ্গিকে মানুষের বিভিন্ন
আচার উৎসবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যেহেতু আমি
একজন "ভারতীয় শাস্ত্রীয়" ও "দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া" নৃত্য শৈলীর সামান্য শিল্পী। তাই আমার দায়িত্ববোধ
থেকেই এই "সৃজন ছন্দে" এর অভ্যুদয়
ঘটেছে নৃত্য ও চর্চার
লক্ষ্য নিয়ে।এখানে নৃত্যকলা সম্পর্কে নানা দিক উপস্থাপনা
করা হয়েছে । যেহেতু নৃত্য
একটি সৃজনশীল মাধ্যম তাই মুক্তচিন্তার পরিচর্যা
করেই। "সৃজন ছন্দে"
একটি উন্মুক্ত অঙ্গন যেখানে মন ও
মননের বিকাশ লাভ করা সম্ভব। মানুষের মধ্যে যে অফুরন্ত সৃজনশীলতা
রয়েছে, সেই সৃজনশীলতা মানুষকে
আরও জীবন্ত করে তোলে। নৃত্যের
মাধ্যমে সেই
সৃজনশীলতার প্রকাশকেই আরো সৃজনশীল করে
তোলাই উদ্দেশ্য।
"সৃজন
ছন্দে" মূলতঃ মুক্ত সংস্কৃতি ও সমাজে বিদ্যমান
অদৃষ্টবাদ, ভাববাদ আর আজন্ম লালিত
ধর্মীয় ও সামাজিক নিবর্তনমূলক
সকল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। বিদ্যমান মৌলবাদী চিন্তার বিরুদ্ধে ও সহিষ্ণুতার ভাবনা, উদার চিন্তাশক্তি, শিল্প, সংস্কৃতির অঙ্গনে নতুন মাত্রা সংযোজন
করেন। সংস্কৃতির সাথে নৃত্য ওতপ্রোতভাবে
জড়িত। বাংলা সংস্কৃতির একটা অংশ হিসেবে
"সৃজন ছন্দে" আমাদের মাঝে মেলবন্ধন ঘটাবে
।
ভারতীয় শাস্ত্রীয়" ও "দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া " নৃত্য শৈলীর সংস্কৃতিক মোড়
পাল্টে যায় ভারত উপমহাদেশ
হিন্দু ও মুসলিম সংস্কৃতির
ভাঙ্গনের সময়। আগে বৈদিক,
বৌদ্ধ, জৈন এবং ইসলাম
ধর্মের মতো প্রধান ধর্ম
বর্ন নির্বিশেষে নৃত্য চৰ্চা হত। কিন্তু বহিরাগত ধর্মের সঙ্গে স্থানীয় ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আচারের সঙ্গে সংঘাত
দ্বন্দ্ব বাধে ও স্থানীয় লোকদের ধর্মীয় দর্শন, আচার-আচরণ এবং
সামাজিক রীতিনীতিতে পাল্টে যায় ।নৃত্য এর
হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
আগেই "নৃত্য" শিল্পীর
জন্য নৃত্য
ছিল বন্দনা।
ধীরে আমরা এখন থেকে
সরে যাচ্ছি। তাই একজন মুক্ত
মননের মানুষ ও একজন নৃত্যশিল্পী
হিসাবে আমার দায়িত্ব মনে
করি এখন সংস্কৃতি ও
নৃত্য চর্চার বড় বেশি প্রয়োজন।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে
সুষ্ঠ ও সুস্থ সংস্কৃতি
চর্চাই আমাদেরকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত
করবে।
আমার
এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষীরা এই
“সৃজন ছন্দে" এ সংযুক্ত ও
সংশ্লিষ্ট হয়ে আপনাদের চিন্তা
চেতনায় ও মন্তব্যে একে
সমৃদ্ধ করবেন।।এ আমার জন্য এক
সাংস্কৃতিক আন্দোলন, এক নবজাগরণ।এক সৃষ্টি।
0 comments:
Post a Comment
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ